শেখ হাসিনার সরকার টানা তিন মেয়াদে কমবেশি ১৮,০০০ ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করেছে, কিন্তু তাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের legitimacy নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই তালিকার মধ্যে হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সাবেক সিটি করপোরেশন মেয়রের নামও রয়েছে।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানসহ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নাম যুক্ত হয়েছে বিতর্কিতভাবে, যদিও আপত্তি জানানো সত্ত্বেও নেতৃবৃন্দ তার পক্ষেই মতামত দিয়েছেন।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) একজন সাবেক সদস্য জানান, ফারুক খানের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, কারণ তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী থেকে আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মগোপন করেছিলেন।

এছাড়া, হাসিনা সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রী ও এমপি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম লেখাতে আবেদন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক জানিয়েছেন, বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংস্কার করা হবে এবং অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত হবে।

সম্প্রতি, ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে, যা এই বিতর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।